ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে দেখে নিন এক নজরে

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কত দিন লাগে তা বর্তমান যুগের সকল উদ্যোক্তার জন্য একটি কৌতূহলের বিষয়। ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে প্রতি মাসে ঘরে বসে লাখ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এক্ষেত্রে দরকার আত্ম ইচ্ছা কাজের প্রতি নিষ্ঠা ও কঠোর পরিশ্রমের।
ডিজিটাল-মার্কেটিং-শিখতে-কতদিন-লাগে-দেখে-নিন-এক-নজরে
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে আপনি একজন সফল ব্যবসায়ী কিংবা উদ্যোক্তা কিংবা একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনার দরকার একটি সঠিক গাইডলাইন এবং একজন দক্ষ গাইডার।

পেট সূচিপত্রঃ ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে তা মানুষের কাছে যেমন কৌতুহলী তেমনি জানা অতি জরুরি। কারণ আপনি যদি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার কিংবা ডিজিটাল মার্কেটার হতে চান। তাহলে আপনার এই সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান রাখা উচিত। 

একজন ফ্রিল্যান্সার যদি সফলভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করতে চায়। তাহলে সকল কোর্স শিখে তার একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হতে এক থেকে দেড় বছর সময় লাগবে। সেক্ষেত্রে আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সকল প্লাটফর্মে কাজ করা জানতে হবে।

একজন ডিজিটাল মার্কেট মার্কেটিং এর সকল বিষয় মাথায় রেখে কাজ করতে হয়। কেউ যদি ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করে মার্কেটিং করতে চায় তাহলে তাকে ওয়েবসাইট SEO, ফেসবুক মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া, কনটেন্ট ক্রিয়েশন, ব্লগ রাইটিং ইত্যাদি অনেক কাজ শিখতে হয়।

সেক্ষেত্রে মাঝেমধ্যে একজন ডিজিটাল মার্কেটারকে ভিডিও এডিটিং, গ্রাফিক ডিজাইনিং সহ ওয়েব ডিজাইনিং এর কাজও শিখতে হয়। কারণ কোন ডিজিটাল মার্কেটার যদি নিজের ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করে ফ্রিল্যান্সিং করতে চায় তাহলে এই সকল বিষয় তাকে নিজে থেকে আত্মস্থ করতে হয়।

ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মূলত নানারকম প্রকারভেদ রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু প্রকারভেদ হলো;

ওয়েবসাইট তৈরি ডিজিটাল মার্কেটিং

সাধারণত বর্তমানে অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করে ডিজিটাল মার্কেটিং করে। সে ক্ষেত্রে দরকার একটি ডোমেন এবং একটি হোস্টিং প্রোভাইডার ওয়েবসাইট যেমন ওয়ার্ডপ্রেস কিংবা ব্লগার। এই সকল ওয়েবসাইটে ডোমেন এবং হোস্টিং কিনে নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করে প্রতিদিন নতুন নতুন কনটেন্ট ক্রিয়েট করে কিম্বা আর্টিকেল লিখে তা পোস্ট করে ইনকাম করা সম্ভব।

ফেসবুক মার্কেটিং

ফেসবুক মার্কেটিং বা মেটা মার্কেটিং প্রতিমাসের লাখ টাকার বেশি ইনকাম করা সম্ভব। কিন্তু এলাকা ইনকাম করার জন্য দরকার ধৈর্য এবং মানুষের শক্তি। মেটা মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ফেসবুক থেকে ইনকাম করে সহজে ডিজিটাল মার্কেটিং প্লাটফর্মে নিজেকে একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটের হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।

ইউটিউব মার্কেটিং

ইউটিউব মার্কেটিং এর মাধ্যমে সহজেই ডিজিটাল মার্কেটিং করে ইনকাম করা সম্ভব সাধারণত ইউটিউবে অ্যাড দেখিয়ে কিংবা নিজের কনটেন্ট তৈরি করে সেই কনটেন্টগুলো ব্যবহার করে ইউটিউব মার্কেটিং করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন কোর্স তৈরি করেও আপনারা ইউটিউব মার্কেটিং করতে পারেন।

ব্লগ রাইটিং কিংবা আর্টিকেল রাইটিং

সাধারণত ডিজিটাল মার্কেটিং এর আরেকটি মার্কেটিং হল আর্টিকেল রাইটিং কিংবা ব্লক রাইটিং। নিজের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন একটি থেকে দুইটি ব্লগ আর্টিকেল পোস্ট করে মাসে লাখ টাকার বেশি ইনকাম করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে প্রতিদিন একটি নতুন কিওয়ার্ড রিসার্চ করে সেই কিওয়ার্ড এর ওপর একটি টপিক নির্বাচন করে প্রতিদিন একটি করে ব্লক আর্টিকেল লিখে পোস্ট করলে ঘরে বসে ডিজিটাল মার্কেটিং করা সম্ভব।

আরো পড়ুন: এড দেখে টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট ২০২৫

ডিজিটাল মার্কেটিং কি ও কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করে

ডিজিটাল মার্কেটিং হল ফ্রিল্যান্সিং এর একটি অন্যতম সেক্টর যে সেক্টরে কিভাবে ডিজিটাল উপায় মার্কেটিং করা হয় সে সম্পর্কে শেখানো হয়। সাধারণত ডিজিটাল মার্কেটিং করে ঘরে বসে লাখ টাকার বেশি ইনকাম করা সম্ভব কিন্তু সে ক্ষেত্রে প্রয়োজন সঠিক জ্ঞান ও দক্ষতা।

ডিজিটাল মার্কেটিং হল এমন একটি মার্কেটিং পন্থা যে পন্থায় আপনি অন্য কারো প্রোডাক্ট কিংবা নিজের প্রোডাক্ট ডিজিটাল উপায়ে মার্কেটিং করে সেই পণ্য কিংবা কোর্স কিংবা আপনার কাঙ্ক্ষিত প্রোডাক্ট কাস্টমারদের কাছে ডিজিটাল উপায়ে সেল করতে পারবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং করে নানা পন্থায় পণ্য বিক্রি করতে পারবে হতে পারে সেটি কোন কোর্স কিংবা ওয়েবসাইট কিংবা আর্টিকেল সাধারণত ডিজিটাল মার্কেটিং প্লাটফর্মে এমন অনেক ডিজিটাল মার্কেট রয়েছে যারা বিভিন্ন ধরনের কোর্স তৈরি করে সেগুলো ডিজিটাল মার্কেটিং করে বিক্রি করে থাকে এছাড়াও বিভিন্ন ওয়েবসাইট তৈরি করে সেই ওয়েবসাইটগুলো বিক্রি করে ডিজিটাল মার্কেটটাররা ইনকাম করে থাকে। তাছাড়াও এমন অনেক ডিজিটাল মার্কেটের ওয়েবসাইট রয়েছে যেখান থেকে আমরা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে কিছু সংখ্যক আর্টিকেল ক্রয় করে তা আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিস্ট করতে পারি।

এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং হল ঘরে বসে স্মার্ট পদ্ধতিতে কাস্টমারদের আকর্ষণ করে পণ্যটির ডিটেলস বুঝিয়ে তাকে পণ্য কেনার প্রতি আগ্রহী করে তোলা। ফ্রিল্যান্সিংয়ের জগতে ডিজিটাল মার্কেটিং এক শুধুমাত্র এমন একটি কোর্স যে কোর্সটি শিখে আপনি কারো সহযোগিতা ছাড়াই ঘরে বসে লাখ টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তা

বর্তমান বিশ্বে কিংবা আমাদের দেশে জনসংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে কর্মসংস্থানের হার তেমন কমছে। কারণ আমাদের দেশে কর্মসংস্থানের সংখ্যা জনসংখ্যার তুলনায় অনেকাংশে কম। সেক্ষেত্রে এদেশের অধিকাংশ জনসংখ্যায় প্রায় বেকার বললেই চলে। সে ক্ষেত্রে নিজেদের ক্যারিয়ার নিজেকে গড়তে ফ্রিল্যান্সিং কিংবা ডিজিটাল মার্কেটিং একটি অন্যতম মাধ্যম হিসেবে গণ্য করা সম্ভব।

বর্তমানে সরকারি চাকরি একটি সোনার হরিণ হয়ে দাঁড়িয়েছে যা উচ্চশিক্ষা অর্জন করার পরেও পাওয়াটা অনেকাংশে অসম্ভব। সেক্ষেত্রে আমাদের সকলকে বেসরকারি চাকরির দিকে ঝুঁকতে হয়। যার কোন নিশ্চয়তা নেই বললেই চলে। কিন্তু বেসরকারি চাকরি হারও এখন তুলনামূলক অনেক কম। সেক্ষেত্রে আমাদের নিজেদের ক্যারিয়ান নিজে গড়তে চাইলে ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে অগ্রসর হতে হবে।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসে লাখ টাকার বেশি ইনকাম করা সম্ভব। কিন্তু বর্তমান বাংলাদেশের মানুষরা এই কাজকে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিংবা সম্মানজনক কাজ হিসেবে মনে করে না। তারা ধারণা করে এই কাজের কোন ভবিষ্যৎ নেই। কিন্তু যদি একটি ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করে ডিজিটাল মার্কেটিং করে নিজের ওয়েবসাইটকে একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায়। তাহলে মৃত্যুর পরও আপনার সন্তান এবং স্ত্রী লাখ লাখ টাকা ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং করে যেমন দেশে বেকারত্বের হার কমবে তেমনি বাংলাদেশ সরকার লাখ লাখ রেমিটেন্স পাবে। যা আমাদের দেশের অর্থনীতি খাতের জন্য অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও নিজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিজে করলে কিংবা ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে পারলে আপনি নিজের পাশাপাশি আরও ১০-২০ জনকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন। যা কমিয়ে তুলবে এদেশের বেকারত্বের হার।

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ভবিষ্যৎ

বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটের প্রয়োজন যত বাড়ছে গুরুত্ব সমান হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডিজিটাল মার্কেটিং হল এমন একটি প্লাটফর্ম যা অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মের তুলনায় অনেকাংশে এগিয়ে। কারণ যতদিন যাবে মানুষ ডিজিটাল মার্কেটিং এর ওপর তত বেশি নির্ভরশীল হয়ে উঠবে। কারণ বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং করে বিভিন্ন পেজ কিংবা ওয়েবসাইট যেমন ঘরের বাজার এর মত হাজারো পেজ কিংবা ওয়েবসাইট ডিজিটাল মার্কেটিং করে তাদের পণ্য বিক্রি করে থাকে।

বর্তমানে AI এর যুগে অন্যান্য ফ্রিল্যান্সাররা যেমন নাকানি চুবানি খাচ্ছে অপরদিকে ডিজিটাল মার্কেটাররা AI ব্যবহার করে তাদের সময় বাচ্চাছে। এর ফলে যেই কাজ করতে চার ঘন্টা লাগতো সেই একই পারিশ্রমিকে সেই কাজটি করতে এখন দুই ঘন্টারও কম সময় লাগে। এক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটাররা যেমন অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের ফ্রিল্যান্সারদের থেকে এগিয়ে থাকছে তেমনিভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

আরো পড়ুন:  ডোমেন কিনে ব্লগারে ওয়েবসাইট সাজানোর পদ্ধতি

কোথা থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখলে উপকৃত হবেন

মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয় উপার্জন করতে হলে প্রথমে দরকার একজন দক্ষ কিংবা জ্ঞানী কোন মেন্টরের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া। একজন জ্ঞানী কিংবা প্রশিক্ষিত প্রশিক্ষকের কাছ থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে বর্তমান বাজারে ডিজিটাল মার্কেটিং করে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

অ্যাডসেন্স, ইউটিউব মার্কেটিং ও ফেসবুক মার্কেটিং করে ঘরে বসে নিজের ওয়েবসাইট থেকে লাখ টাকার বেশি ইনকাম করা সম্ভব। কিন্তু এই লাখ টাকা ইনকাম করার পূর্বে আপনাকে এক থেকে দেড় বছরের একটি কমপ্লিট কোর্স করে তারপর ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে আসা উচিত। সে ক্ষেত্রে আপনি অনেক তাড়াতাড়ি সফলতার শিখরে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।

বর্তমানে এমন অনেক ওয়েবসাইট কিংবা পেজ রয়েছে যারা ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোর্স শিখিয়ে থাকে। কিন্তু তার মধ্যে অন্যতম এবং জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট হল অর্ডিনারি আইটি। যারা তিন মাসের মধ্যে আপনাকে ইনকামের সোর্স তৈরি করে দিয়ে আপনাকে একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার কিংবা ডিজিটাল মার্কেট হিসেবে গড়ে তুলবে।

কখন ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ শেখা উচিত

ডিজিটাল মার্কেটিং হল মূলত এমন একটি সেক্টর যেখান থেকে আপনি পরিশ্রমের সাথে কাজ করতে পারলে এটি আপনার প্রাইমারি ইনকাম সোর্স হিসেবেও গণ্য হতে পারে আবার আপনি যদি শুধু দিনে দুই থেকে তিন ঘন্টা কাজ করতে চান তাহলে এটি আপনার জন্য একটি সেকেন্ডারি ইনকাম সোর্স হিসেবে গণ্য হবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার কোন নির্দিষ্ট সময় নেই আপনি স্টুডেন্ট লাইফ থেকেও ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারেন। পড়াশোনার ফাঁকে ডিজিটাল মার্কেটিং করে ঘরে বসে লাখ টাকার বেশি ইনকাম করতে পারেন। যা একজন স্টুডেন্ট হিসেবে আপনার জন্য যথেষ্ট। তারপরে ও ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার কিছু নির্দিষ্ট সময় রয়েছে।


ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার প্রথম এবং সঠিক সময় হল এসএসসি বা সম্মানের পরীক্ষার পর কিংবা এইচএসসি পরীক্ষার পর অথবা আপনার পড়াশোনা শেষ করার পর যখন আপনি আপনার নিজের জন্য একটি চাকরি খুঁজছেন সেই সময় আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং করে নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে পারেন তাহলে আপনার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং হবে বেস্ট চয়েস।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা বর্তমানে কেমন

ডিজিটাল মার্কেটিং হল বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের মধ্যে সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন একটি সেক্টর। যেখানে কাজ করে ঘরে বসে লাখ টাকার বেশি ইনকাম করা সম্ভব। ডিজিটাল মার্কেটিং করে অতীতে এমন অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা সফলতা অর্জন করেছে কিন্তু সে সময় ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা তেমন ছিল না। ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট এন্ড ডিজাইনিং ছিল তখনকার শ্রেষ্ঠ প্লাটফর্ম।

ওয়েবসাইট ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট করে সেই সময় অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা সফলতার সাথে এগিয়ে গিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে ওয়েবসাইট ডেভেলপারের চেয়ে ডিজিটাল মারকেটারের চাহিদা বেড়েছে। কারণ বর্তমান সময়ের সকল মানুষ প্রযুক্তিমুখী তাদের সকল পণ্য কিংবা বিভিন্ন কোর্স বিক্রি করতে হলে ডিজিটাল মার্কেটিং জানা অত্যন্ত আবশ্যক। সেক্ষেত্রে তারা ডিজিটাল মার্কেটারদের হায়ার করে তাদের নিজস্ব পণ্যের মার্কেটিং করিয়েন।

বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা যেমন তা থেকে বোঝা যায় ভবিষ্যতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা দিন দিন বেড়ে যাবে কারণ বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে অন্যান্য ফ্রিল্যান্সাররা যেমন হাবুডুবু খাচ্ছে অপরদিকে ডিজিটাল মার্কেটাররা সফলতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। বলা যায় ডিজিটাল মার্কেটিং করলে ফ্রিল্যান্সিং জগতে বর্তমানে আপনার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।

মার্কেটপ্লেস নাকি দেশীয় প্ল্যাটফর্ম কোনটি অধিক সুবিধা জনক

বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটারের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। এর ফলে বর্তমানে কাজের সংখ্যা এর তুলনায় কাজ করার মানুষের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ফলে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে যদি কাজ করতে যাওয়া হয় তাহলে সেখানে কাজ পাওয়া তেমন একটি সহজ কাজ নয়।

বর্তমানে মার্কেটপ্লেসে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ডিজিটাল মার্কেটার দ্বারা ক্লায়েন্টগুলো সব কাজ করিয়ে নিতে চায়। এর ফলে যারা নতুন ডিজিটাল মার্কেটর রয়েছে তারা তেমন কাজ পায় না বললেই চলে। এর ফলে মার্কেটপ্লেসে যেমন আপ ওয়ার্ক, ফাইবার ইত্যাদিতে অনেক ধৈর্য সহ কাজ করতে হয়। তা না ছাড়া সফলতা অর্জন করা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

সে ক্ষেত্রে দেশীয় প্লাটফর্ম থেকে যদি ইনকাম করা যায় তাহলে তা একজন ডিজিটাল মার্কেটের জন্য অধিক সুবিধা জনক হিসেবে প্রমাণিত হয়। কারণ এখানে কাজ খোঁজার কোন ঝামেলা থাকে না নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে আর্টিকেল পোস্ট করে অ্যাড সেন্স থেকে সহজে লাখ টাকার বেশি ইনকাম করা যায়। এছাড়াও দেশীয় কিছু কোম্পানি তাদের পণ্য বিক্রির জন্য আমাদের মত ডিজিটাল মার্কেট হায়ার করে এবং তাদের জন্য মার্কেটিং করিয়ে নেয়।

মার্কেটপ্লেস এর চেয়ে দেশীয় প্ল্যাটফর্মে কাজ করে ডিজিটাল মার্কেটেররা অর্থাৎ নতুন ডিজিটাল মার্কেটাররা অধিক সফলতা অর্জন করে সে ক্ষেত্রে মার্কেটপ্লেসের চেয়ে দেশীয় প্ল্যাটফর্ম ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অর্থাৎ ডিজিটাল মার্কেটের জন্য অধিকতর সুবিধা জনক হয়ে ওঠে।

সর্বশেষ মন্তব্যঃ ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে 

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কত দিন লাগে এই প্রশ্নের চেয়ে বড় প্রশ্ন ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে বর্তমানে কতজন ফ্রিল্যান্সার সফলতা পেয়েছে। আপনি যদি জানতে চান ফ্রিল্যান্সিং শিখে কতজন ফ্রিল্যান্সার ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে সফল হয়েছে তাহলে আপনি অর্ডিনারি আইটি কিংবা যেকোনো আইটি সেকশনে গিয়ে তাদের রিভিউ গুলো দেখতে পারেন।

বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং করে অনেক ফ্রিল্যান্সাররা নিজেদের ক্যারিয়ার ডেভলপ করছে এবং নিজেদের একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বা উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে সফল হচ্ছে। এতে যেমন সে নিজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিজে করছে তেমনি পাশাপাশি ১০ থেকে ২০ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। আমাদের সকলের উচিত ফ্রিল্যান্সিং শিখে নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

উদ্যোক্তা ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url