নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার উপায় অর্থাৎ এখানে বোঝানো হয়েছে নারীদের বেকারত্বের
হার কমানোর পন্থা সকল মেয়ে চায় স্বাবলম্বী হতে কিন্তু তারা সেই পরিমাণ সাহস
অর্জন করতে পারে না যার মাধ্যমে সে বেকারত্ব কে দূরে সরিয়ে স্বাবলম্বী হয়ে
উঠবে।
সাধারণত মেয়েরা আর্থিকভাবে দুর্বল থাকলে সকল মানুষ তার ওপর একপ্রকার হুকুম বা
চাপ সৃষ্টি করে। এবং তাকে বোঝা হিসেবে গণ্য করে। এমনকি বিভিন্ন ধরনের কাজ মেয়েরা
না পারা সত্ত্বেও তাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। আমাদের দেশে নারীদের কোন মতামতের
মূল্য দেওয়া হয় না প্রথমে তাদের পরিবার পরিজন এবং তারপরে তাদের স্বামীদের কথায়
তাদের চলতে হয় তাদের নিজের কোন মেরুদন্ড থাকেনা।
পেজ সূচিপত্রঃ নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার উপায় সমূহ
বর্তমান সমাজে নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার উপায় অনেক রয়েছে তার ভেতর সবচেয়ে
প্রয়োজন উচ্চ শিক্ষা এবং উচ্চ পরিবেশ যা থেকে সমাজ তাদের বঞ্চিত করে একটি মেয়ে
১৮ বছর হলে তার বিয়ে দেওয়ার জন্য জোর দেওয়া হয়। সাধারণত এর কারণে বর্তমান
সমাজ দায়ী থাকে। কোন মেয়ে যদি স্বাবলম্বী হয় তাহলে কখনোই সে এত দ্রুত বিয়েতে
রাজি হবে না। কিন্তু সমাজ বিকল্প পদ্ধতিটি বন্ধ করে দেয়। যেন সে বিয়ের জন্য
দ্বিমত পোষণ না করতে পারে।
স্বাবলম্বী দ্বারা কি বোঝানো হয় একটি মেয়ের জীবন সঠিকভাবে পরিচালনা করার
সক্ষমতা, মানসিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে স্বাধীনভাবে চলাফেরার
ক্ষমতাকেই স্বাবলম্বী হওয়া বলা হয়। নিজের টাকা আয় করে নিজেকে সমাজে একজন
প্রতিষ্ঠিত হিসেবে তুলে ধরা সেই স্বাবলম্বী বলা হয়। একজন মেয়েকে স্বাবলম্বী হতে
বিভিন্ন বাঁধার সম্মুখীন করতে হয়।
একজন মেয়ে কিভাবে স্বাবলম্বী হবে
নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার উপায় ব্যাপক। তাদের দরকার তার আত্মবিশ্বাস এবং দৃঢ়
মনোবল। নিজের উপর বিশ্বাস রেখে সকল বাঁধার সম্মুখীন করে উচ্চশিক্ষা অর্জন করে
একজন মেয়ে নিজেকে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। এক্ষেত্রে দরকার তার
পরিবার-পরিজনের সহায়তা এবং কাছের মানুষের সাহায্য। যে সকল ধাপ অবলম্বন করলে একটি
মেয়ে নিজেকে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।
শিক্ষা অর্জন
কোন একটি নির্দিষ্ট জাতি কতটুকু উন্নত তা নির্ভর করে সেই জাতি কতটুকু শিক্ষিত।
পাঠ্য বয়ে বলা হয় শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড এবং শিক্ষাই হলো সাফল্যের চাবিকাঠি।
অর্থাৎ শিক্ষা হলো এমন একটি চাবি যা আমাদের স্বাবলম্বী হতে কোন কোন পদক্ষেপ নিতে
হবে তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। একটি উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে একজন
মেয়ে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে পারে যা তার জীবনযাত্রা ও কর্মক্ষেত্রের মান উন্নত
করতে তাকে সাহায্য করে।
কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলের মেয়েরা কেমন সুযোগ-সুবিধা পায় না।
কারণ তাদের বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাদের নিজের পরিবার ও সমাজ। এছাড়াও বর্তমানে
গ্রামীণ অঞ্চলে এখনো তেমন সুযোগ সুবিধা নেই বললেই চলে নেই সেখানে এলাকায় শিক্ষা
নেওয়ার মতো উল্লেখযোগ্য স্কুল, কলেজ বা প্রয়োজনীয় প্রাইভেট। যে কারণে তাদের
পরিবার তাদের শিক্ষা অর্জনের জন্য দূরে যেতে দিতে চায়না। এক্ষেত্রে শহরের চেয়ে
গ্রামীণ পরিবেশের মেয়েরা স্বাবলম্বী হওয়ার যাত্রায় পিছিয়ে পড়ে।
দক্ষতা উন্নয়ন ও হাতের কাজের প্রশিক্ষণ
বর্তমান বিশ্বটি এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে সেখানে আপনার যদি নিজের কোন
দক্ষতা না থাকে তাহলে আপনি এই সমাজে কিছু করতে পারবেন না। নিজের দক্ষতা উন্নত
করার মাধ্যমে আপনি নিজেকে এই সমাজে একজন স্বাবলম্বী নারী বা পুরুষ হিসেবে গড়ে
তুলতে পারবেন। সেক্ষেত্রে এমন অনেক দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে
যেখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আপনি নিজেকে একজন দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে
পারবেন। উল্লেখযোগ্য দক্ষতা গুলো হল:
ভালো কর্মজীবন পরিকল্পনা করা আমাদের সকলের জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যৎ
পরিকল্পনা করা সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য। ভবিষ্যতে আপনি কোন কর্মে আগ্রহ এবং দক্ষ
হয়েছেন সেটির উপর ভিত্তি করে আপনার কর্মজীবন পরিকল্পনা করা উচিত। সে ক্ষেত্রে
আপনি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ফ্রিল্যান্সার, কিংবা বিভিন্ন পেশা বেছে নিতে পারেন।
যে কাজ করে আপনি জীবনে সফলতা অর্জন করবেন এবং সাবলম্বীভাবে জীবন যাপন করতে পারবে
সেই কাজ বেছে নেওয়া আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব।
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সক্ষমতা
প্রতিটি মানুষের তাদের নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নেওয়ার সক্ষমতা থাকা উচিত। এতে তার
মানসিক ধৃড়বল আরো শক্তিশালী এবং আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। সাধারণত নিজের সিদ্ধান্ত
নিজে নেওয়ার এই পরিকল্পনাটি আমাদের চতুর্থ ক্লাসে শিক্ষা দেওয়া হয়। কিভাবে
নিজের জীবনের সকল মূল্যবান সিদ্ধান্ত নিজে নেব এবং নিজেকে একজন স্বাবলম্বী এবং
উন্নত নাগরিক হিসেবে সমাজে গড়ে তুলবো। সেই সকল শিক্ষা আমাদের দেওয়া হয়।
বর্তমান প্রযুক্তির যুগে নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার উপায়
বর্তমান যুগ হল প্রযুক্তির যুগ। এই যুগে তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে যথাযথ ধারণা না
থাকলে এবং তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার সঠিকভাবে না করতে পারলে সমাজে মাথা উঁচু করে
দাঁড়ানো বা সাবলম্বী হওয়ার কোন সুযোগ থাকে না বললেই চলে। বর্তমান সময়ে
স্বাবলম্বী হয়ে অর্থ ইনকামের জন্য তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক ভূমিকা আমাদের জীবনে
রয়েছে।
বর্তমান যুগ অনলাইন মুখি। অনলাইনে বিভিন্ন পণ্যের অ্যাড দিয়ে আমরা সেই পণ্যগুলো
অনলাইনে বিক্রির মাধ্যমে ব্যবসা করতে পারি যা আমাদের সমাজের নারীদের মাথা উঁচু
হয়ে দাঁড়ানোর একটি উপায়। এছাড়াও বর্তমানে বিভিন্ন কোর্স যেমন ডিজিটাল
মার্কেটিং, গ্রাফিক ডিজাইনিং, ভিডিও এডিটিং, ওয়েবসাইট ডেভলপমেন্ট ইত্যাদি
নানামুখী কোর্স করার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসে খুব সহজে ইনকাম করা
সম্ভব।
এই সকল পন্থায় ইনকামের জন্য নারীদের দরকার দৃঢ় মনোবল যা গড়ে তুলবে একটি নারীকে
একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে। এছাড়াও বর্তমানে নারী ও পুরুষ সকলে একসাথে কাজের
মাধ্যমে আমাদের সমাজকে আরো উন্নত করে তুলতে পারি। বর্তমানে এক সংখ্যক নারী শিক্ষা
অর্জন করে সমাজে একজন শিক্ষিকা হিসেবে স্বাবলম্বীভাবে জীবন যাপন করছে। সে
ক্ষেত্রে তার দরকার উচ্চশিক্ষা এবং উচ্চ পরিবেশ।
একজন নারী যদি সফলভাবে সমাজে চলাচল করতে চায় তাহলে তাকে যুদ্ধ করে সামনে এগিয়ে
যেতে হবে। রুখে দাঁড়াতে হবে পরিবারের বিরুদ্ধে, সমাজের বিরুদ্ধে এবং সেই সকল
মানুষের বিরুদ্ধে যারা তার স্বাবলম্বী হওয়ার পথের বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। নারীদের
হয়ে উঠতে হবে ত্যাগী এবং সাহসী যার মাধ্যমে তারা নিজেদের উন্নত করবে এবং আমাদের
সমাজকেও করে তুলবে উন্নত এবং সফল।
নারীদের স্বাবলম্বী হতে যে দৃঢ় অবলম্বনটি প্রয়োজন
একটি নারীকে সফল হতে হলে প্রয়োজন একটি দৃঢ় অবলম্বনের। যা তাকে শারীরিক ও
মানসিকভাবে শক্তি প্রদান করবে। হতে পারে সেটি তার পরিবার কিংবা তার স্বামী।
বর্তমান সমাজে বিয়ের পরও এমন অনেক নারী রয়েছে যারা স্বাবলম্বী হিসেবে সমাজে
চলাফেরা করে। নিজে ইনকাম করে এবং পরিবারের অবলম্বন হয়ে ওঠে। সে ক্ষেত্রে সেই সকল
মেয়ের প্রয়োজন একজন সমর্থকের যে সকল বিষয়ে তাকে সমর্থন করবে এবং তাকে এগিয়ে
যেতে উৎসাহ দিবে।
বর্তমানে একজন সমর্থক যেভাবে একজন নারীকে সফলতার উচ্চ শিখরে পৌঁছাতে সক্ষম হয়
তেমনভাবে আর কেউ নারীকে সফল করতে সক্ষম হয় না। সাধারণত এর ব্যাপক ভূমিকা পালন
করে তাদের নিজেদের স্বামী কিংবা বাবা তাদের পূর্ণ সমর্থনে একজন নারী এই তথ্য ও
যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগে নিজের স্কিল ডেভেলপ করে নানামুখী প্রযুক্তি সম্পন্ন কাজ
করে নিজেকে সফল হিসেবে গড়ে তোলে যা বর্তমান সমাজের জন্য একটি গর্বের বিষয়।
কখন একজন নারীর স্বাবলম্বী হওয়া উচিত
একজন নারী যখন বিয়ের প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে যায় এবং সমাজ ও তার পরিবার তাকে বোঝা
মনে করে তার আগেই একজন নারীর নিজেকে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তোলা উচিত। এক্ষেত্রে
তার পরিবার পরিবেশ ও নিজের আত্মীয়-স্বজনরা তাকে যেমন মূল্য দেয় তেমন সম্মান
করে। সে ক্ষেত্রে যখন সে তার নিজের আয়ের উৎস তৈরি করে তখন সে তার পরিবারের একজন
সম্মানীয় মানুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
গ্রামের ও শহরের নারীদের মধ্যে কারা অধিক স্বাবলম্বী
বর্তমানে নারীদের সাবলম্বী হতে খুব একটি কষ্টের প্রয়োজন নেই বললেই চলে কারণ
বর্তমান বিশ্বের আধুনিক ছোঁয়ায় বর্তমান সমাজের সকল মানুষ নারীদের স্বাবলম্বী
করে তোলার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা এবং ত্যাগ করে থাকে। এর ফলে বর্তমানে সকল সেক্টরে
নারী ও পুরুষ এর ভূমিকা সমান। বর্তমানে প্রশাসন ক্ষেত্রে, চিকিৎসা ক্ষেত্রে,
ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ সমানভাবে ভূমিকা পালন
করে থাকে।
বর্তমানে গ্রামীণ সমাজে মেয়েরা শহরের নারীদের তুলনায় তেমন সুযোগ-সুবিধা পায় না
বললেই চলে। কারণ বর্তমানে শহরের মেয়েরা পেয়ে থাকে উচ্চ শিক্ষা, উচ্চ সমাজ
ব্যবস্থা এবং উচ্চশিক্ষিত পরিবার। যা গ্রামের মেয়েরা পায় না বললেই চলে কারণ
বর্তমানে শহরের যে শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিটি এলাকায় একটি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
এবং বিভিন্ন উন্নত শিক্ষার সুযোগ পেয়ে থাকে কিন্তু গ্রামে প্রতিটি এলাকায় একটি
করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকেনা সাধারণত তিন চারটি মহল্লাতে একটিমাত্র শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান থাকে। সেক্ষেত্রে যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন ভালো না হওয়ার কারণে মেয়েরা
তেমন শিক্ষা অর্জন করতে পারে না।
গ্রামীণ পরিবেশের মেয়েরা তেমন শিক্ষা অর্জন করতে না পারলেও তাদের স্বাবলম্বী
হওয়ার পন্থা অধিক। তারা বিভিন্ন ধরনের কোর্স করে কিংবা হাতের কাজ শিখে কিংবা
খামার তৈরি করার মাধ্যমে নিজেকে সাবলম্বী করে তুলতে পারে। সে ক্ষেত্রে তারা
বিভিন্ন ধরনের ছোটখাটো ব্যবসা কেমন ঘরের আঙ্গিনায় মুদির দোকান, বিউটি পার্লার
খোলার বিভিন্ন প্রকার ছোটখাটো কাজ করতে পারে।
বর্তমানে শহরের মেয়েরা গ্রামীণ জীবনের নারীদের তুলনায় অধিক সুযোগ-সুবিধা পেয়ে
থাকে। তারা উচ্চ শিক্ষা, উচ্চ সমাজ এবং উচ্চ পরিবার পরিজন পায় যারা তাদের সব
সময় তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে পাশে দাঁড়ায় এবং জীবনে এগিয়ে যেতে নানাভাবে
সাহায্য করে বর্তমানের নারীরা বিভিন্ন বিদ্যালয়, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ
শিক্ষা অর্জন করে বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করার সক্ষমতা অর্জন করছে।
বর্তমানে শহরের মেয়েরা বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, উকিল, পাইলট, ডক্টর,
ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি বিভিন্ন পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারছে। নিজেকে সমাজের
মাঝে একজন উচ্চ শিক্ষিত নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারছে। যা বর্তমান যুগের
নারীদের জন্য একটি ব্যাপক এচিভমেন্ট। বর্তমানে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পুরুষদের
পাশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার মত সক্ষমতা বর্তমান যুগের নারীদের হয়ে উঠছে।
বর্তমানে এমন অনেক মেয়ে রয়েছে যারা ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে সহজে আই ইনকাম
করতে সক্ষম হচ্ছে। শুধু কম্পিউটার জানার মাধ্যমে এবং বেসিক কিছু কাজকর্ম জানার
মাধ্যমে এবং কিছু নিজ দক্ষতা দৃঢ় করার মাধ্যমে ঘরে বসে দৈনিক ১৫ থেকে ২০ হাজার
টাকা ইনকাম করে মেয়েরা সহজেই নিজেকে স্বাবলম্বী হিসেবে সমাজের সামনে উপস্থাপন
করতে পারছে।
একজন সফল নারী ফ্রিল্যান্সার হতে দরকার দৃঢ় মনোবল, ইন্টারনেট সংযোগ, একটি
কম্পিউটার বা ল্যাপটপ এবং স্বজনের সহায়তা। দৈনিক আর্টিকেল লেখে বিভিন্ন
ওয়েবসাইট থেকে সহজেই ১৫ বা ২০ হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে এই সুযোগ
সুবিধা বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট প্রদান করে থাকে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি
ওয়েবসাইট হলো
অর্ডিনারি আইটি।
পার্ট টাইম জব করার মাধ্যমে সাবলম্বী হওয়ার উপায়
সাধারণত শহরে নারীরা পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেদের স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলতে
চায়। সেক্ষেত্রে শহরের নারীরা এই বিষয়ে গ্রামের নারীদের তুলনায় অত্যাধিক
সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরনের রেস্টুরেন্ট, বিভিন্ন ধরনের স্কুল এবং
এমন অনেক স্থানে তারা পার্ট টাইম জব করে নিজেদের খরচ নিজেরাই বহন করে এবং মাঝে
মাঝে পরিবারের সহায়তা হয়েও দাঁড়ায়।
নারীদের স্বাবলম্বী হতে প্রয়োজন একটি সুস্থ ও আধুনিক সমাজের যা তাদের পিছুটান
হয়ে দাঁড়াবে না এবং তাদের কাজে কোন বাধা তৈরি করবে না। যার মাধ্যমে এই সমাজের
সকল মেয়েরা নিজেদের স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে। এবং মাথা উঁচু করে
নিজের উপার্জন দিয়ে স্বাবলম্বী হিসেবে বাঁচতে পারবে।
উদ্যোক্তা মেলার মাধ্যমে বিভিন্ন নারীর স্বাবলম্বী হওয়ার উপায়
বর্তমানে শহরে কিংবা গ্রামে এমন অনেক মেলার আয়োজন করা হয় যেখানে নতুন নতুন
উদ্যোক্তাদের প্রমোট করা হয়। যার মাধ্যমে তারা তাদের নিজেদের তৈরি কৃত পণ্য যেমন
কুটির শিল্প, হাতের তৈরি বিভিন্ন ধরনের উপাদান, নকশি কাঁথা, এবং বিভিন্ন ধরনের
ছোটখাট উদ্ভাবন যা তারা নিজেরা উদ্যোক্তা হিসেবে আবিষ্কার করেছে সেগুলো
উপস্থাপনের মাধ্যমে আমরা তাদের স্বাবলম্বী হওয়ার পথের দিকে অগ্রসর করতে পারি।
বর্তমানে এমন অনেক নারী উদ্যোক্তা রয়েছে যারা বিভিন্ন উদ্যোক্তা মেলাতে অংশগ্রহণ
করে তাদের তৈরি কৃত পণ্য কিংবা ব্যবসার জন্য সারা বিশ্ব থেকে বিভিন্ন পণ্য ক্রয়
করে সেই মেলাতে উপস্থাপন করে এবং আমাদের মত সাধারন মানুষরা সেই মেলাতে অংশগ্রহণ
করে তাদের একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে স্বাবলম্বীভাবে গড়ে ওঠার জন্য উৎসাহ
প্রদান করি। যা তাদের মনোবল আরো মজবুত করে তোলে এবং আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠতে
সাহায্য করে।
সর্বশেষ মন্তব্যঃ নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার উপায় সমূহৎ
নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য আমাদের সমাজকে আরো উন্নত হতে হবে আমাদের পরিবারকে
আরো সচেতন হতে হবে এবং তাদের দিকে সামাজিক এবং মানসিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে
হবে তাহলে আমাদের সমাজ হয়ে উঠবে উন্নত এবং জাগ্রত। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে নারী
ও পুরুষ একে অপরের অংশবিশেষ হিসেবে কাজ করে এসেছে।
নারীদের ঘরে বসিয়ে না রেখে সাবলম্বী করে তোলা উচিত। এতে সকল নারী স্বাবলম্বী
ভাবে জীবন যাপন করবে এবং সংসারের পুরো গুরুদায়িত্ব টি স্বামীর ঘাড়ের উপর না
পড়ে দুজন ভাগাভাগি করে সংসার চালাতে পারবে এতে জীবন হবে যেমন সুখময় তেমনি সংসার
হবে সুখের। পাঠ্য বইয়েও বলা রয়েছে "বিশ্বের যা কিছু সৃষ্টির চিরকল্যাণকর,
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর।"
উদ্যোক্তা ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url