স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব করে ইনকাম করার ১০ টি উপায়
স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব অর্থাৎ পড়াশোনার পাশাপাশি ইনকাম করার
প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। একজন শিক্ষার্থী পড়াশোনার পাশাপাশি তার আর্থিক
প্রয়োজনীয়তা মেটাতে কিংবা তার হাত খরচ নিজেকেই বহন করতে হয়। সেক্ষেত্রে একজন
শিক্ষার্থীর পার্ট টাইম জব করা তার দৈনন্দিন জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
একজন শিক্ষার্থে পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট টাইম জব করে মাসে একটি নির্দিষ্ট
সংখ্যক অর্থ উপার্জন করে তার প্রয়োজনীয় হাত খরচ কিম্বা দৈনন্দিন প্রয়োজনীয়তা
কিছুসংখ্যক মেটাতে পারে। সেক্ষেত্রে পার্ট টাইম জবটি হতে পারে দিনে চার থেকে পাঁচ
ঘন্টা যা মাস শেষে তার জন্য এনে দেবে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ। যা দিয়ে সে
তার পরবর্তী মাসটি আরাম-আয়েশে কাটাতে পারবে।
পেট সূচিপত্রঃ স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব
- স্টুডেন্টদের পার্ট টাইম জব করার প্রয়োজনীয়তা
- স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জবের ১০ টি মাধ্যম
- ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট বা ডাটা এন্ট্রির কাজ করে ইনকাম
- অনলাইন ট্রান্সক্রিপশন
- আর্টিকেল রাইটিং বা ব্লগ রাইটিং
- ভিডিও এডিটিং
- গ্রাফিক ডিজাইনিং বা ওয়েব ডিজাইন
- কল সেন্টার কিংবা কাস্টমার সার্ভিস সেবা
- এড দেখে টাকা ইনকাম করা
- অনলাইন কোর্স তৈরি করে ইনকাম
- সর্বশেষ মন্তব্যঃ স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব
স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব করার প্রয়োজনীয়তা
স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত শিক্ষা অর্জনের জন্য প্রতিবছর গ্রাম থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ
শিক্ষার্থী শহরে আসে পড়াশোনা করতে। সেক্ষেত্রে থাকা খাওয়ার খরচ ব্যতীত তার
পরিবার তার হাত খরচ কিংবা মাস চলার মত খরচ বহন করতে অক্ষম থাকে। সেক্ষেত্রে একজন
শিক্ষার্থীর জন্য পার্ট টাইম জব প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে।
একজন শিক্ষার্থে পড়াশোনার পাশাপাশি দিনে চার থেকে পাঁচ ঘন্টা পার্ট টাইম জব করতে
পারে। এবং মাস শেষে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে সহজেই তার হাত খরচ
চালাতে পারে আবার মাঝেমধ্যে পার্ট টাইম জবটির বেতন যদি বেশি হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে
তারা নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে তাদের পরিবারের জন্য একটি দৃঢ় অবলম্বন হয়ে
দাঁড়াতে পারে। এই পার্ট টাইম জবটি সাধারণত তারা স্কুল-কলেজের পড়াশোনা শেষ করে
বাকি অবসর সময় করে থাকে।
পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট টাইম জব করতে কোন শিক্ষার্থীকে কোন টাকা পয়সা ইনভেস্ট
করতে হয় না। তারা আশেপাশের কোন মল, বড় বড় ব্র্যান্ড শপ ও বিভিন্ন ধরনের
রেস্টুরেন্টেও এই পার্ট টাইম জবটি করতে পারে। সে ক্ষেত্রে শুধু প্রয়োজন তাদের
কাস্টমারদের সাথে ভালো বিহেভিয়ার এবং হাসিমুখে কাস্টমারের বিভিন্ন প্রশ্নের
উত্তর দেওয়া এবং পরিস্থিতি সামাল দেওয়া।
স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জবের ১০টি মাধ্যম
একজন স্টুডেন্টের দৈনন্দিন খরচ ও তার হাত খরচ চালাতে তেমন মোটা অংকের ইনকামের
প্রয়োজন হয় না। ছোটখাটো কিছু কাজ বা পার্ট টাইম জব করে একজন স্টুডেন্ট তার
মৌলিক অর্থ চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয়। সেক্ষেত্রে তারা অফলাইন কিংবা অনলাইন
উভয় পদ্ধতিতে পার্ট টাইম জব করে টাকা পয়সা ইনকাম করতে পারে।
অফলাইন ইনকামের জন্য প্রতিটি স্টুডেন্টকে তাদের চারিপাশে যে সকল বড় ব্র্যান্ডের
দোকান আছে সেগুলোতে যোগাযোগ করতে হবে কিংবা বড় বড় রেস্টুরেন্ট এবং বিভিন্ন
কম্পিউটার কিংবা মোবাইলের দোকানে টেকনিশিয়ান হিসেবে যোগদান করতে পারে। সে
ক্ষেত্রে তাদের সকলের প্রয়োজন সেই সকল বিষয়ে ন্যূনতম জ্ঞান যেটুকু তাদের না
জানলেই নয়।
অপরদিকে কোন স্টুডেন্ট যদি অনলাইনে ইনকাম করতে চায় সেক্ষেত্রে তার প্রয়োজন একটি
মোবাইল কিংবা একটি ল্যাপটপের। অনলাইনে ইনকাম করতে প্রতিটি স্টুডেন্টকে কিছু বিশেষ
ধরনের কোর্স করে কিংবা বাংলায় আর্টিকেল রাইট করে ঘরে বসে সহজেই একটি ভালো
অ্যামাউন্টের অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবে।
আরো পড়ুন : আরবি মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৬
ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট অথবা ডাটা এন্ট্রির কাজ করে ইনকাম
সাধারণত ডাটা এন্ট্রির কাজ গুলো বড় বড় কোম্পানিরা কিংবা যেকোনো দেশীও কোম্পানি
থেকে আমরা করতে পারি এই কাজটি করতে আমাদের খুব একটি টেকনোলজি সম্পর্কে জ্ঞান
থাকার প্রয়োজন নেই শুধু বেসিক কিছু জ্ঞান এবং টাইপিং জানলে আমরা এই ডাটা
এন্ট্রির কাজটি সহজেই করতে পারি। এই কাজটি করার জন্য দরকার আমাদের ইংরেজিতে
টাইপিং দক্ষতা।
সাধারণত বিভিন্ন কোম্পানি কিম্বা বিদেশি নানা কোম্পানি ফ্রিল্যান্সিং
প্ল্যাটফর্মে এগুলো কাজ প্রদান করে থাকে সেই কাজগুলো সঠিকভাবে করে তাদের কাছে
সাবমিট করলে তারা আমাদের একটি হ্যান্ডসাম সালারি প্রোভাইড করে যা আমরা ঘরে বসে
অত্যন্ত সহজে ইনকাম করে নিজের খরচ সহ তারই পরিবারের সকলের খরচ চালাতেও সক্ষম হব।
সাধারণত কোম্পানিগুলো একটি ডাটা চার্ট তৈরি করে দেয়। এবং সেই ডাটা গুলো আমাদের
স্পিডশিট বা বিভিন্ন ধরনের ডাটা এন্ট্রি অ্যাপ এ বসিয়ে সেই কাজগুলো সঠিকভাবে এবং
সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ করে তাদেরকে সাবমিট করতে হয়। সে ক্ষেত্রে তারা সেই কাজটি
কমপ্লিট হওয়ার পর চেক করে আমাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কিংবা যেই সকল
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর রয়েছে সেগুলো সেক্টরের ওয়ালেটে অর্থটি ট্রান্সফার করে
দেয় যা আমরা পরে সহজেই উইথড্র করে নিতে পারি।
আমরা মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ঘরে বসে ইনকাম করতে পারি সাধারণত এই ডাটা
এন্ট্রির কাজগুলো করা হয় কম্পিউটার মাইক্রোসফট এক্সেল ও মাইক্রোসফট অফিসে।
সেক্ষেত্রে আমাদের যে সকল কাজগুলো করতে হয় তা হলো
- কোম্পানি থেকে দেওয়া সকল প্রোডাক্টের নাম ও তার পাশে সেই প্রোডাক্ট এর প্রাইসের তালিকা
- কোন ব্যক্তি মাসে কত দিন উপস্থিত ও অনুপস্থিত ছিল তার তালিকা
- কোম্পানির বিভিন্ন হিসাব নিকাশের তালিকা
- কোম্পানির সকল এমপ্লয়ে এর বেতনের তালিকা
- নির্দিষ্ট ছবি কিংবা তথ্যের তালিকা
এছাড়াও আরও নানা ধরনের তালিকা তৈরি করার মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে হয় এবং
এই কাজ করে খুব সহজে ঘরে বসে একটি ভাল পরিমান অর্থ উপার্জন করা সম্ভব হয়।
অনলাইন ট্রান্সক্রিপশন
যাদের দ্রুত টাইপ করার সক্ষমতা রয়েছে তাদের জন্য অনলাইন ট্রান্সক্রিপশন একটি
উপযুক্ত পার্টটাইম জব। এই কাজটি সাধারণত বিভিন্ন কোম্পানি দ্বারা বিভিন্ন
ফ্রিল্যান্সারদেরকে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে তাদের বিভিন্ন অডিও বা ভিডিও ক্লিপ
দেওয়া হয় যা তারা পুরাটা দেখার পর সেই হিসেবে টাইপ করে একটি আর্টিকেল তৈরি করে
কিংবা একটি ক্রিপ্ট তৈরি করে সে কোম্পানিকে প্রদান করে। মূলত অডিও বা ভিডিও শুনে
সেই হিসেবে স্ক্রিপ্ট রাইটিং কে বলা হয় অনলাইন ট্রান্সক্রিপশন।
বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি দেশীয় ও বিদেশি কোম্পানি গুলো এই
ট্রান্সক্রিপশন এর কাজ করিয়ে থাকে। ঘরে বসে অডিও বা ভিডিও রেকর্ডিং শুনে সেই
হিসেবে স্ক্রিপ্রিট করে দিয়ে মাসে একটি ভালো পরিমাণ অর্থ স্টুডেন্টরা ইনকাম করতে
পারে। সে ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে ইংরেজিতে টাইপিং করার দক্ষতা টি থাকা অনেক
বেশি প্রয়োজন।
আর্টিকেল রাইটিং বা ব্লগ রাইটিং
যারা টাইপিং বা লেখালেখিতে দক্ষ এবং সাজিয়ে গুছিয়ে কথা লিখতে পারে তাদের জন্য
আর্টিকেল রাইটিং বা ব্লগ রাইটিং একটি উন্নতম ইনকাম পদ্ধতি। আর্টিকেল রাইটিং বা
ব্লক রাইটিং করতে হলে একটি মানুষের কিংবা একজন স্টুডেন্টের খুব একটা শিক্ষাগত
যোগ্যতা থাকার প্রয়োজন নেই শুধু দরকার তার সাজিয়ে গুছিয়ে লেখার অভিজ্ঞতা এবং
দক্ষতা। যার মাধ্যমে সে সাজিয়ে গুছিয়ে একটি সুন্দর আর্টিকেল বা ব্লগ রাইড করতে
পারবে।
সাধারণত আর্টিকেল বা কনটেন্ট রাইটিং করাটা ফ্রিল্যান্সিংয়ের সাথে অন্তর্ভুক্ত
বিভিন্ন কোম্পানি কিম্বা কোন স্টুডেন্ট চাইলে নিজের ওয়েবসাইট খুলে ব্লগার কিংবা
ওয়ার্ডপ্রেসে আর্টিকেল বা কন্টেন্ট রাইটিং করে মাসে একটি ভালো পরিমাণ অর্থ
উপার্জন করতে পারে। এছাড়াও দেশীয় কিছু আইটি প্রতিষ্ঠান থেকেও এই সুযোগ-সুবিধাটি
দেওয়া হয়। মাসে আর্টিকেল রাইটিং করে সহজেই ১৫-২০ হাজার টাকা ইনকাম করার সুবিধা
ও বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠান দিয়ে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম একটি আরেকটি প্রতিষ্ঠান
হল অর্ডিনারি আইটি।
এই আর্টিকেল বা কনটেন্ট রাইটিং এর জন্য খুব একটা হাই কনফিগারেশনের ডিভাইস থাকার
প্রয়োজন নেই। দৈনন্দিন ব্যবহারকৃত মোবাইল কিম্বা ডেস্কটপ অথবা ল্যাপটপ দিয়ে
সহজে কাজগুলো করা সম্ভব। এছাড়াও যদি কোন স্টুডেন্ট লেখালেখিতে দক্ষ নাও হয়ে
থাকে শুধু সাজিয়ে কথা বলার ধরনটি তার জানা থাকে তাহলে ক্রমের বিভিন্ন এক্সটেনশন
ব্যবহার করে ভয়েস টাইপিং করে সহজেই এক ঘন্টায় এক থেকে দুইটি ব্লক রাইড করতে
পারে।
বর্তমানে ব্লক রাইটিং করে ইনকাম করার চাহিদা অনেক বেশি। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং
ওয়েবসাইট যেমন আপু ওয়ার্ক, ফাইবার ইত্যাদি বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে ব্লক বা
আর্টিকেল রাইটিং এর বিভিন্ন অর্ডার পাওয়া যায়। একটি নির্দিষ্ট অর্থ চুক্তিতে
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটি কনটেন্ট রাইট করে দিলে প্রতি রাইটিং এর জন্য ৭ থেকে
৮ ডলার সহজেই ইনকাম করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে দরকার সাজিয়ে গুছিয়ে লেখার দক্ষতা ও
রিডারদের আকর্ষণ করার মত ক্ষমতা।
আরো পড়ুন: ডোমেন কিনে ব্লগারে ওয়েবসাইট সাজানোর পদ্ধতি
ভিডিও এডিটিং
সাধারণত ফ্রিল্যান্সিং করার নানা ধরনের পদ্ধতি রয়েছে তার মধ্যে একটি হলো ভিডিও
এডিটিং। যেই কাজটি করতে ভিডিও এডিটিং এর প্রশিক্ষণ নেওয়া জরুরী স্বল্প বিনিয়োগে
ভিডিও এডিটিং প্রশিক্ষণ নিয়ে ঘরে বসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। একজন
স্টুডেন্ট হিসেবে এটি তার পার্ট টাইম জব কিংবা প্রাইমারি জব হিসেবেও পরিণত হয়ে
উঠতে পারে। যার দক্ষতা যত বেশি তার ইনকাম তত বেশি।
সাধারণত প্রাইমারি লেভেলে ভিডিও এডিটিং করে মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা অনায়াসে
ইনকাম করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে এক ধরনের ডেইলি কাস্টমার থাকলে ইনকামের পরিধি বাড়তে
পারে। সাধারণত ইউটিউব আমাদের মত ফ্রিল্যান্সারদের সাথে যোগাযোগ করে একটি মান্থলি
কন্ট্রাক্টের সাথে যুক্ত হয়। যার মাধ্যমে তার ইউটিউব চ্যানেল এর সকল ভিডিও পুরো
মাস জুড়ে এডিট করে দেওয়ার ফলে পুরো মাস শেষে তারা আমাদের ৫০ থেকে ১ লাখ টাকা
পর্যন্ত দিয়ে থাকে।
ভিডিও এডিটিং এর জন্য কোন একটি নির্দিষ্ট এডিটিং সফটওয়্যার প্রয়োজন হয়। সে
ক্ষেত্রে আমরা ফটোশপ কিম্বা ইলেস্টেশনের কাজ শিখতে পারি। যার ফলে ঘরে বসে সহজে
এডিট করে দেওয়ার মাধ্যমে আমরা মাসে একটি হ্যান্ডসাম সালারি উপার্জন করতে পারি।
যা নিজের চাহিদাসহ পারিবারিক সকল চাহিদা পূরণে সাহায্য করে।
গ্রাফিক ডিজাইনিং বা ওয়েব ডিজাইন
গ্রাফিক বা ওয়েব ডিজাইন হল বর্তমান ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে দ্বিতীয় চাহিদা
সম্পন্ন কাজ। আমরা গ্রাফিক্স ডিজাইনিং বা ওয়েব ডিজাইনের কোর্স করে মাসে লাখ লাখ
টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হতে পারি। সে ক্ষেত্রে দরকার আমাদের যথাযথ দক্ষতা এবং
জ্ঞান। গ্রাফিক ডিজাইন বা ওয়েব ডিজাইনিং এর যথাযথ জ্ঞান থাকলে সহজে ইনকাম করা
সম্ভব।
এক্ষেত্রে বড় বড় কোম্পানি আপওয়ার্ক বা ফাইবারে ওয়েবসাইট ডিজাইনারদের খুঁজে
থাকে। যারা বিভিন্ন কোডিং করে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে দেয় বা থিম ক্রিয়েট করে
দেয় যার মাধ্যমে। একটি ওয়েবসাইট ভিজিটররা সেই ওয়েবসাইটের প্রতি আকৃষ্ট হয়।
যার দক্ষতা ওয়েব ডিজাইন এ যত ভালো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে তার চাহিদা তত বেশি।
একজন ওয়েব ডিজাইনার একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে মাসের লাখ লাখ টাকা চার্জ করে
থাকে।
একজন ওয়েব ডিজাইনার ওয়েবসাইট ক্রিয়েশন এর জন্য মাসে লাখ টাকা ইনকাম করে।
সেক্ষেত্রে বিভিন্ন কোডিং এর মাধ্যমে তারা একটি ওয়েবসাইটের ইন্টারফেস তৈরি করে।
সে ক্ষেত্রে একজন ওয়েব ডিজাইনার কে HTML, JavaScript ও Python এর কাজ জানতে হয়।
এছাড়াও একজন গ্রাফিক ডিজাইনার বিভিন্ন গেম কোম্পানি কিম্বা বড় বড় থ্রিডি মুভি
ডিজাইন কোম্পানির সাথে যুক্ত থাকে। তারা গ্রাফিক ডিজাইন করে বিভিন্ন অ্যানিমেশনের
মাধ্যমে গেম কিম্বা থ্রিডি মুভি। এর ফলে সে সেই কোম্পানি থেকে একটি হ্যান্ডসাম
স্যালারির ডিমান্ড করে। যা সকল কোম্পানি এক্সেপ্ট করে বিভিন্ন গ্রাফিক্স
ডিজাইনারদের হায়ার করে তাদের কোম্পানির ইন্টারফেস ডেভেলপ করে।
কল সেন্টার কিম্বা কাস্টমার সার্ভিস সেবা
স্টুডেন্টরা পার্ট টাইম জব হিসেবে কল সেন্টার কিংবা বিভিন্ন কোম্পানির কাস্টমার
সার্ভিস সেবা হিসেবেও যোগদান করতে পারে। সে ক্ষেত্রে তারা একটি নির্দিষ্ট সময়
পর্যন্ত সেই কল সেন্টার কিংবা কাস্টমার সার্ভিস দিয়ে থাকে। সাধারণত বড় বড়
কোম্পানি কিম্বা বড় বড় সিম কার্ড কোম্পানি তাদের গ্রাহকদের সেবার জন্য কল
সেন্টার কিংবা কাস্টমার সার্ভিস সেবা সক্রিয় রাখে।
সাধারণত বৃহত্তম কোম্পানিগুলো তাদের গ্রাহকের সার্ভিসের জন্য বিভিন্ন কাস্টমার
সার্ভিস বা কল সেন্টার সুবিধা চালু রাখে। সে ক্ষেত্রে তাদের এমন অনেক এমপ্লয় এর
প্রয়োজন হয় যারা তাদের কাস্টমারদের হাসিমুখে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে থাকবে।
সে ক্ষেত্রে বর্তমানে শিক্ষিত স্টুডেন্টরা এই পার্ট টাইম জবটি করতে পারে। সে
ক্ষেত্রে তাদের হাসিমুখে কাস্টমারদের সমস্যা সমাধানের সক্ষমতা দরকার।
এড দেখে টাকা ইনকাম করা
পড়াশোনার পাশাপাশি সেকেন্ডারি ইনকাম হিসেবে স্টুডেন্ট অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা এড
দেখে টাকা ইনকামকে বেছে নিতে পারে। অ্যাড দেখে মাসে ২০ থেকে ৩০ ডলার ইনকাম করা
সম্ভব। কিন্তু সে ক্ষেত্রে চার থেকে পাঁচটি ওয়েবসাইটে প্রতিদিন অবসর সময়গুলো তে
কাজ করতে হবে। প্রতিদিন প্রতিটি ওয়েবসাইটে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অ্যাড দেখে
দিনে তিন থেকে চার ডলার ইনকাম করা যায়।
এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে অ্যাড দেখার কোন লিমিটেশন থাকে না। সেখানে
অ্যাড দেখে এবং বন্ধুদের রেফার করে এবং নানা ধরনের অবজেক্টিভ কমপ্লিট করে ইনকাম
করা সম্ভব। কিন্তু অ্যাড দেখে ইনকাম করার পদ্ধতিটিকে প্রাইমারি ইনকাম হিসেবে
বিবেচনা করা যাবে না। সব সময় এই ধরনের কাজকে সেকেন্ডারি ইনকাম হিসেবে বিবেচনা
করতে হবে।
আরো পড়ুন: এড দেখে টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট ২০২৫
অনলাইন কোর্স তৈরি করে ইনকাম
বর্তমান বাজারে এমন অনেক আইটি প্রতিষ্ঠান কিংবা ওয়েবসাইট রয়েছে যারা অনলাইন
কোর্স তৈরি করে ইনকাম করে থাকে তার মধ্যে অন্যতম একটি আইটি প্রতিষ্ঠান হল
অর্ডিনারি আইটি যারা ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোর্স তৈরি করে এবং তা বিক্রি করে মাসে
লাখ টাকার বেশি ইনকাম করছে।
যদি কোন একটি কোর্স কিংবা কোন বিষয়ে পারদর্শী হওয়া যায় তবে সেই বিষয়ে অনলাইন
কোর্স তৈরি করে আমরা তা অনলাইনে বিক্রি করে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারি। সে
ক্ষেত্রে যেই বিষয়ে আমরা কোর্স তৈরি করতে চাচ্ছি সেই বিষয়ে আমাদের পারদর্শী হতে
হবে। এবং সেই বিষয়ে বিপুল পরিমাণ জ্ঞান অর্জন করে তারপর সেই কোর্সটি তৈরি করতে
হবে। কারণ যদি আপনার কোর্সটি গ্রাহকদের পছন্দ না হয় সেক্ষেত্রে আপনার অনলাইন
কোর্স তৈরি করে ইনকাম করার পদ্ধতিটি তেমন সফল হবে না।
সর্বশেষ মন্তব্যঃ স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব
স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জবের আইডিয়া সম্পর্কে উক্ত আর্টিকেলে বিস্তারিত
জানানো হয়েছে। এছাড়াও এমন অনেক ধরনের কাজ রয়েছে যা সহজে করে স্টুডেন্টরা ইনকাম
করতে পারবে। এক্ষেত্রে তাদের হাত খরচের টাকা যেমন অর্জন করতে পারবে তেমনি ইনকাম
যদি বেশি হয় তাহলে পারিবারিক অর্থ অবলম্বন হিসেবে দাঁড়াতে পারবে।
সকল কাজের জন্য দরকার সেই কাজ সম্পর্কে যথেষ্ট পরিমাণ জ্ঞান এবং
দক্ষতা। এবং ধৈর্য ও পরিশ্রম দিয়ে সেই কাজগুলো করলে স্টুডেন্ট
অবস্থায় একজন মানুষ লাখ টাকার বেশিও ইনকাম করতে সক্ষম হবে। লেগে
থাকলে যে কোন কাজে সফলতা পাওয়া সম্ভব হয়। কারণ পরিশ্রমে সাফল্যের
চাবিকাঠি।
উদ্যোক্তা ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url