নতুন গুগল একাউন্ট ও এডভান্স সুরক্ষা অন পদ্ধতি

পোষ্টের সূচিপত্র:

ভূমিকা:

গুগল অ্যাকাউন্ট হল আমাদের বর্তমান জীবনের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাউন্ট যে একাউন্টের মাধ্যমে আমরা আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহৃত নানা প্রকার এপ্সে একাউন্ট খুলতে ব্যবহার করে থাকি।google account এর মাধ্যমে আমরা ফেসবুক, নেমচিপ, ব্লগার ইত্যাদি অ্যাপের জন্য অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করে থাকি। এছাড়াও গুগল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আমরা জিমেইল, ইউটিউব, গুগল ফটোস, গুগল ম্যাপ ইত্যাদি নানা ধরনের এক্সেস পেয়ে থাকি। 

গুগল একাউন্ট ক্রিয়েট প্রসেস:

গুগল একাউন্ট ক্রিয়েট করা অতি সহজ কিন্তু কিছু বিশেষ অংশ রয়েছে যা আমরা সাবধানতার সাথে সঠিক ইনফরমেশন দিয়ে অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করতে পারি । একটি গুগল একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হলে প্রথমে আমাদের প্রথমে গুগলে চাপ দিতে হবে তারপরে আমাদের create an account এ ক্লিক করতে হবে। তারপর আমাদের সামনে এমন একটি পেজ ওপেন হবে।



এরপর এখানে আমাদের প্রথম এবং শেষ নেম দিয়ে নেক্সট বাটনে ক্লিক করতে হবে। তারপরে আমাদের সামন একটি বেসিক ইনফরমেশন পেজ ওপেন হবে যেখানে আমাদের  জন্মতারিখ ,  মাস ,  বছর  এবং  লিঙ্গ দিয়ে সঠিকভাবে নেক্সট বাটনে চাপ দিতে হবে।

এতে করে গুগল আমাদের বেসিক ইনফরমেশন গুলো গুগল একাউন্টের সাথে লিংক করবে। তারপর আমাদের একটি ইউজার নেম সিলেক্ট করতে হবে যা কিছু বিশেষ ক্যারেক্টার বা নাম্বারের সমন্বয়ে তৈরি করতে হবে। 

  

তারপরে গুগল তা চেক করবে যে এই নামটি পূর্বে ব্যবহৃত হয়েছে কিনা এবং যদি এই নামটি পূর্বে ব্যবহৃত হয়ে থাকে তাহলে নতুন একটি ইউজার নেম দিয়ে সঠিকভাবে ভেরিফাই করে নেক্সট বাটনে চাপ দিতে হবে। পরবর্তী ধাপটি হলো গুগল একাউন্ট ক্রিয়েট এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ।



এই ধাপে মূলত আমাদের একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের একাউন্ট কে সিকিওর করতে হয়। শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহারের কারণ হ্যাকার যেন সহজে আমাদের একাউন্টে হ্যাক না করতে পারে। এক্ষেত্রে আমাদের কিছু আলফাবেট কিছু স্পেশাল ক্যারেক্টার এবং কিছু নাম্বার এর সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে এবং পাসওয়ার্ডটি দুইবার লিখে সঠিকভাবে ভেরিফাই করার মাধ্যমে পরবর্তী ধাপের জন্য অগ্রসর হতে হবে।

পরবর্তী ধাপটি হলো আমাদের ইউজার নেম এবং জিমেইল একাউন্ট নেম ঠিক আছে কিনা তা যাচাইয়ের একটি ধাপ এই ধাপে নেক্সট বাটনটি চাপ দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের পরবর্তী ধাপের জন্য অগ্রসর হতে হবে। নিচের ধাপটি হলো গুগলের নীতিমালা বা টার্মস এন্ড কন্ডিশন পেজ।


এই পেজে এসে আমাদের নিচে স্ক্রল করে আই এগ্রি বাটনে চাপ এই দিতে হবে এবং এরই মধ্য দিয়ে আমাদের একটি গুগল একাউন্ট ক্রিয়েট সফলভাবে সম্পন্ন হবে এবং এই গুগল একাউন্ট ব্যবহার করে আমরা নানামুখী কাজ খুব সহজেই করতে পারব।


গুগল অ্যাকাউন্টের এডভান্স সিকিউরিটি:

 কিন্তু এই গুগল একাউন্টটি এখনো সম্পূর্ণ সিকিউর না হ্যাকার খুব সহজে আমাদের এই একাউন্টে হ্যাক করে নিতে পারবে তার জন্য দরকার কিছু অ্যাডভান্স সিকিউরিটির জন্য আমাদের প্রথমে google একাউন্ট এর ওপরে চাপ দিতে হবে এবং সেখান থেকে ম্যানেজ ইয়োর গুগল একাউন্ট বাটনে চাপ দিতে হবে।

                            

এবং সেই বাটনে চাপ দেওয়ার পর আমাদের সামনে একটি এমন ইন্টারফেস আসবে। 


এবং এই ইন্টারফেস থেকে বাম দিকে উপরের কর্নারে যেগুলো সেকশন রয়েছে সেই সেকশন থেকে আমাদের সিকিউরিটি সেকশনে চাপ দিতে হবে।


এই সিকিউরিটি সেকশনে চাপ দেওয়ার পর আমাদের সামনে একটি নতুন পেজ বা ইন্টারফেস ওপেন হয়ে যাবে যাকে বলা হয় এডভান্স সিকিউরিটি সিস্টেম এই সিকিউরিটি সিস্টেমে বিভিন্ন সিকিউরিটি ফাংশন অন করার ফলে আমাদের একাউন্টে হবে সেফ এন্ড সিকিউর এর ফলে সিকিউরিটি সেকশনে ঢুকে আমাদের নিম্নে চিত্রে দেওয়া সিকিউরিটি সেটিংস গুলো অন করতে হবে

                     

রিকভারি ফোন নাম্বার ও রিকভারি ইমেইল দেওয়ার মাধ্যমে আমরা যদি একাউন্টটি কোন ভুলবশত হারিয়ে ফেলি তাহলে তা ফিরে পেতে সাহায্য করবে। কিন্তু অপরদিকে টু স্টেপ ভেরিফিকেশন হল এমন একটি প্রসেস যার মাধ্যমে যখনই আমরা অ্যাকাউন্টটি অন্য কোন ডিভাইসে লগইন করতে চাইবো তখন একটি ভেরিফিকেশন এর মাধ্যমে শিওর হবে যে ইউজারটি অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েটর কিনা। সে ক্ষেত্রে নিম্নে দেখানো সেকশনগুলো অন করতে হবে।


এই চারটে সেকশন অন করার মাধ্যমে আমাদের অ্যাকাউন্টটি হবে এডভান্স সিকিউর ফলে কোন হ্যাকার বা অন্য কেউ আমাদের ওয়েবসাইটে লগইন করতে চাইলে আমাদের কাছে একটি ভেরিফিকেশন চাইবে যার পারমিশন আমরা না দেওয়া পর্যন্ত আমাদের একাউন্টে কেউ লগইন করতে পারবে না।

উপসংহার:

গুগল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে আমরা যেমনিভাবে আমাদের কর্ম ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারব তেমনিভাবে আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহারেও গুগল একাউন্ট গুরুত্বপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেকেরই গুগল একাউন্ট এবং তার এডভান্স সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে হবে এবং বর্তমান বিশ্বে আধুনিকভাবে জীবন যাপন করতে হবে।


আরো পড়ুন: প্রতারণার মাধ্যমে মানুষের টাকা বা গোপনীয় তথ্য হাতিয়ে নেওয়া



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

উদ্যোক্তা ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url